৪ কর কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত, এনবিআর আন্দোলনের প্রভাব।
সিলেট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু
খুলনা মোংলার কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার আবুল আলা মোহাম্মদ আমীমুল ইহসান খান
চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির যুগ্ম কমিশনার সানোয়ারুল কবির
খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম
আইআরডি জানিয়েছে, ১২ মে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর এনবিআরের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ আছে, তারা অফিসের কাজ বাধাগ্রস্ত করেছেন এবং সহকর্মীদের কাজ বন্ধে উসকানি দিয়েছেন। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৩৯(১) অনুযায়ী তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালে তারা নিয়মমাফিক খোরপোষ ভাতা পাবেন।
গত দুই মাসে আন্দোলনের কারণে এনবিআরের মোট ৩১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মে ও জুনে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়, ২৮ ও ২৯ জুন তারা সারা দেশে অফিস বন্ধ রাখেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার হলেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চালু হয়। এর মধ্যে তিন সদস্য ও এক কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে, এবং চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তৎকালীন কমিশনারকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া এনবিআরের ২ সদস্যসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত শুরু করেছে, যারা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।