গরুর ঘাস খাওয়া কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার, পরদিন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬, আহত ২০।

গরুর ঘাস খাওয়া কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার, পরদিন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬, আহত ২০।

গরুর ঘাস খাওয়া কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার, পরদিন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬, আহত ২০।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ আলিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন—আলিয়ারা গ্রামের রোকন আলীর স্ত্রী শরিফা বেগম (৬০), জাকির হোসেনের ছেলে ওসমান গনি (১৬), জাকির হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), রশিদ আহমেদের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৫৫), কাজী রোকন আহমেদের ছেলে কাজী কবির আহমেদ (৩৫), এবং রুস্তম আলীর ছেলে আবু তাহের (৬০)।

গরুর ঘাস খাওয়া কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার, পরদিন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬, আহত ২০।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৩ জুন গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে স্থানীয় আবুল খায়ের ও শেখ ফরিদ গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আবুল খায়ের বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গরুর ঘাস খাওয়া কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার, পরদিন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬, আহত ২০।
মামলার প্রধান আসামি শেখ ফরিদকে বৃহস্পতিবার কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর শুক্রবার দুপুরে উভয় পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গরুর ঘাস খাওয়া কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার, পরদিন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬, আহত ২০।
গুলিবিদ্ধ হোসনেয়ারা বেগম বলেন, "শেখ ফরিদের লোকজন আমাদের ওপর আগেও একাধিকবার হামলা করেছে। আজ দুপুরে আবারও আমাদের বাড়িতে হামলা চালায় এবং গুলি করে।"

নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটি চিকিৎসক শিমা মজুমদার বলেন, “শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তিনজন নারী ও একজন কিশোর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আসেন। পরে আরও দুজন পুরুষ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

গরুর ঘাস খাওয়া কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার, পরদিন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬, আহত ২০।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা সেনাবাহিনীসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে আমাদের কাছে নিশ্চিত তথ্য নেই।”