মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি—ফাঁসির দাবি জানান। একইসঙ্গে তারা অভিযোগ করেন, হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। নিহত আলাউদ্দিনের ছেলে জোবায়ের হোসেন রাজিম বলেন, “আমার বাবাকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে চলন্ত গাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই।”
পূর্ব বিরোধ ও হত্যাকাণ্ডের পটভূমি: গত ৩ আগস্ট (রবিবার) দুপুরে জানাজা শেষে নিজ বাড়ি ফেরার পথে দক্ষিণ আলিয়ারা গ্রামের সামনে থেকে আলাউদ্দিনকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে চলন্ত সিএনজি অটোরিকশায় মাথায় গুলি করে হত্যা করে তার মরদেহ ফেলে যায় ঢালুয়া-নাঙ্গলকোট সড়কের পাশে।
জানা গেছে, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে আলাউদ্দিন মেম্বার ও আওয়ামী যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে গত জুন মাসেও সংঘর্ষ, হামলা, লুটপাট ও মামলার ঘটনা ঘটে। হত্যা মামলা ও তদন্ত পরিস্থিতি
ঘটনার পর নিহতের ছেলে জোবায়ের হোসেন রাজিম বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও তদন্তের স্বার্থে পুলিশ আসামিদের নাম প্রকাশ করেনি।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, “ঘটনার বিষয়ে মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি। মানববন্ধনে বক্তারা জানান, অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করা হলে থানা ঘেরাওসহ কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।